
নর্দমা, ফুটপাত ও সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটির আওতায় ৩২ জন কর্মকর্তা বিদেশ সফরে যাবেন। আর এজন্য ব্যয় হবে দেড় কোটি টাকা। যদিও প্রকল্প প্রস্তাবের শুরুতেই প্রক্ষিণের জন্য বিদেশ সফরের আয়োজন ছিল; এর মধ্যে আবার নতুন করে এ খাতে পরিমাণ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে প্রকল্পটির বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় না বাড়িয়ে দ্বিতীয় সংশোধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ঘটেছে এমন ঘটনা। সংশোধনী প্রস্তাবটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উঠবে আগামীকাল(১৪ জুলাই) মঙ্গলবার। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় বিদেশ সফরের ব্যয় বাড়ানো বাদ দেওয়াসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছিল। সেগুলো মেনে ডিপিপি (উন্নয় প্রকল্প প্রস্তাব) সংশোধন করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পটি আগামী একনেকে উপস্থাপন করা হচ্ছে।পিইসি সভায় দেওয়া সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- সংশোধন পর্যায়ে প্রকল্পের অর্থায়নে সিটি করপোরেশনের অবদান না রাখার বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনের আওতাভুক্ত নয়। তাই এ পর্যায়ে আলোচ্য প্রকল্পে সিটি করপোরেশনের অবদান অপরিবর্তিত রাখতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের মেয়াদ একবছর অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে ভবিষ্যতে প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো যাবে না। কিংবা আবার নতুন কোন কাজ বা প্যাকেজ বাস্তবায়নের প্রয়োজন হলে তা ডিএনসিসি’র নিজস্ব অর্থেই করতে হবে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক জৈষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি পরিস্থিতিতিতে অপ্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত করা উচিত। যেখানে প্রচুর অর্থ সংকট রয়েছে, সেখানে বিদেশ সফরে ব্যয় বাড়ানো তো দূরের কথা বরং এ রকম ব্যয় বাতিল করাই উচিত।’